প্রথমে গত সপ্তাহের ঘটনাবলির পর্যালোচনা :
- ইউরো/মার্কিন ডলার। যেমন আমরা পূর্ববর্তী অনুমানে প্রত্যাশা করেছিলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়েক ধন্যবাদ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টকের বৃদ্ধি এবং কোভিড-19-এর বিরুদ্ধে সামনের সারি থেকে প্রেরণাদায়ক খবরে, ইউরো এবং ডলারের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা সেই অবস্থান দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারে যা আগে হারিয়েছিল তারা।
করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে, এই ফ্রন্ট থেকে কোনো ইতিবাচক সংবাদ এখনও আসেনি। উপরন্তু, নির্বাচনে ভোটদান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিরুদ্ধ-রেকর্ড গড়েছে : মাত্র একদিনে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা এক লক্ষ।
জো বাইডেনও চূড়ান্তভাবে এখনও জেতেনি। কিন্তু হোয়াইট হাউসের মালিকানা পরিবর্তনের সম্ভাবনা ইতিমধ্যে বিনিয়োগকারীদের ফান্ডকে ফিয়াট থেকে স্টক মার্কেটে নিয়ে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা একজন ডেমোক্র্যাটিক রাষ্ট্রপতি এবং কংগ্রেসকে দুটি শিবিরে বিভক্ত দেখতে ভালোবাসেন। এক্ষেত্রে, কর বৃদ্ধির আশঙ্কা কম। খুব সম্ভবত, নিয়ম ছাড়ের কারণে, প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জীবন অনেক সহজ হেব। এসব প্রত্যাশার ফলে, ডলারের পতন ঘটেছে, যেখানে S& P500, ডো জোন্স, পাশাপাশি ইউরো এবং প্রধান কারেন্সিগুলোর বৃদ্ধি দেখা গেছে। সুতরাং, চীনা য়ুয়ান অর্ধেকের বেশি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে তারা হারিয়েছিল। পরিচিত ইউরোপিয়ান কারেন্সিও আশাপ্রদ বৃদ্ধি দেখিয়েছে। 2 নভেম্বরে 1.1645 থেকে শুরু করে ইউরো/মার্কিন ডলার জোড়া পৌঁছেছিল 1.1890 স্তরে শুক্রবার, 6 নভেম্বর সন্ধ্যায়, যার অর্থ 245 পয়েন্ট বৃদ্ধি। শেষ পর্যন্ত থেকেছে 1.1875-এ। - জিবিপি/মার্কিন ডলার। ব্রিটিশ কারেন্সি শুধু ডলারের পতনে বিকাশ লাভ করেনি, বরং এইসঙ্গে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ দিতে হবে, যারা বৃহস্পতিবার, 5 নভেম্বর দেশের অর্থনীতিকে আরও সহায়তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল 150 বিলিয়ন পাউন্ড বন্ড কেনা বৃদ্ধি করে এবং এটা চলে গেছে 895 বিলিয়ন পাউন্ডে। বাজার আশা করেছিল 845 বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত বৃদ্ধি হবে এবং এই অতিরিক্ত কিউই সম্প্রসারণ পাউন্ডকে ঠেলে নিয়ে গেছে 21 অক্টোবরের উচ্চতায় 1.3175। জোড়াটি সপ্তাহের পর্ব শেষ করে 1.3150-এ, বৃ্দ্ধি 200 পয়েন্ট।
- মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই। গত সপ্তাহে প্রদত্ত অনুমান স্মরণ। আমরা বলেছিলাম :
“এখন এই জোড়া দুটি খুব শক্তিশালী স্তরের মাঝে স্যান্ডউইচ হয়ে রয়েছে - 104.00 ও 105.00 এবং এর পরবর্তী গতিবিধি নির্ভর করছে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির মেজাজের ওপর। এবং সেটা আবার নির্ভর করছে আগামী সপ্তাহে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর।
65 শতাংশ বিশেষজ্ঞের বিশ্বাস, যাঁদের সমর্থন করছে D1-এ গ্রাফিক্যাল অ্যানালিসিস ও 85 শতাংশ ইন্ডিকেটর, জোড়াটি আরও একটি প্রচেষ্টা করবে 104.00 সাপোর্টের মধ্য দিয়ে অতিক্রমের। কিন্তু মাত্র 30 শতাংশ আত্মবিশ্বাসী যে এটা পৌঁছতে সক্ষম হবে 103.00 অঞ্চলে।”
এখন আপনি স্বয়ং বিচার করুন এটা কতটা নিখুঁত ছিল। জোড়াটি 104.00 সাপোর্ট অতিক্রম করেছিল, কিন্তু মাত্র 103.17 দিগন্তে নেমে যেতে পেরেছিল। এরপর সামান্য ঘুরে দাঁড়ানো এবং শেষ করে 103.30-এ। - ক্রিপ্টোকারেন্সি। আমরা পরিসংখ্যান দিয়ে শুরু করি। গুগল ট্রেন্ডস অনুযায়ী, প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি সার্চের সংখ্যা অনুযায়ী নাইজিরিয়া, কিউবা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্যামেরুন হল শীর্ষস্থানাধিকারী প্রথম পাঁচটি দেশ, যাদের বিটকয়েনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ এবং প্রথম পাঁচের কাছাকাছি রয়েছে ঘানা। তাইওয়ান, কাজাখস্তান ও জাপানের বাসিন্দারা আগের তুলনায় অনেক বেশি সার্চ ইঞ্জিনে ক্রিপ্টোকারেন্সি খুঁজেছেন।
এবং আমরা ক্রিপ্টো উইকের মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে, বিশ্বের অপরাধ জগৎ থেকে আরও কিছু পরিসংখ্যান। অবশেষে জানা গেছে সাইবার অপরাধীরা কতটা ডিজিটাল অ্যাসেট হাতিয়ে নিয়েছেন। অ্যানালিটিক্যাল সার্ভিস অ্যাটলাস ভিপিএন-এর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, 2012 থেকে হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে 13.6 বিলিয়ন ডলারের বেশি হাতিয়েছে, 330টির বেশি হ্যাকিঙের ঘটনা ঘটেছে এই সময়কালে। সবচেয়ে বেশি চুরির ঘটনা ঘটেছে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ও ক্রিপ্টো ওয়ালেট থেকে। অ্যাটলাস ভিপিএন অনুযায়ী, ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম সফল হ্যাকিং হয়েছে 87, যার ফল হল হ্যাকাররা তুলে নিয়েছে 4.8 বিলিয়ন ডলার। ওয়ালেটের অবস্থা আরও খারাপ, এখানে মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় 7.2 বিলিয়ন ডলার।
এবং এখন মূল প্রতিশ্রুত খবর : 5-6 নভেম্বর রাতে বিটকয়েন পৌঁছেছিল 15880 ডলার উচ্চতায়, সপ্তাহ জুড়ে যোগ করেছে 17.2 শতাশ। এটা মনে রাখতে হবে যে অক্টোবরের শেষ দিনগুলি থেকে, মূল ক্রিপ্টোকারেন্সি ফের ফের সমন্বয় করছে ডো জোন্স, নাসডাক এবং স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর’স 500 এবং সোনার সঙ্গে। কোনো বিস্ময় নেই যে অতিমারি চলাকালীন, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ প্রিন্ট করেছে বিশাল পরিমাণ নতুন অর্থ এবং অনেক বৃহৎ বিনিয়োগকারী মুদ্রাস্ফীতির ভয় পাচ্ছেন, তাই রক্ষাকারী সম্পদ হিসেবে তাঁদের পোর্টফোলিওতে বিটকয়েন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সুতরাং, চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয়ার্ধে বিটিসি/মার্কিন ডলার কোটে দ্রুত লম্ফন ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের প্রত্যাশার সঙ্গে জড়িত, যা ডলারের দ্রুত পতন এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষাকারী সম্পদে পুঁজিপ্রবাহ ঘটিয়েছে।
ক্রিপ্টো মার্কেটের মোট ক্যাপিটালাইজেশন 7 দিনে বেড়েছে 9 শতাংশ, 410 বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৪৭ বিলিয়ন ডলার। শুক্রবার, 6 নভেম্বর সন্ধ্যায় ক্রিপ্টো ফিয়ার অ্যান্ড গ্রিড ইনডেক্স ছিল 90-এর আশেপাশে, সেই অঞ্চলে, যাকে সূচকের ডেভেলপাররা নাম দিয়েছেন ‘অতিরিক্ত প্রত্যাশা’। বিটিসি/মার্কিন ডলার জোড়ার প্রেক্ষিতে এই মূল্যকে বলা হচ্ছে অতিরিক্ত ক্রীত এবং এর সংশোধন দরকার। যদিও, এটা মনে রাখতে হবে, ইতিমধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংশোধন হয়ে গেছে, এবং জোড়াটি সপ্তাহের উচ্চতা 15.150 ডলার অঞ্চল থেকে ফিরে এসেছিল এবং সাতদিনের পর্ব শেষ করে 15.510 ডলারে।
বিটকয়েনের বৃদ্ধি অনেক শীর্ষস্থানীয় অল্টকয়েনকে এর সঙ্গে টেনে এনেছিল। সেজন্য, ইথেরিয়াম (ইটিএইচ/মার্কিন ডলার) বৃদ্ধি পেয়েছিল গোটা সপ্তাহে 15 শতাংশ। এই কয়েনের জন্য অতিরিক্ত সাহায্য প্রদান করেছিল ইটিএইচ 2.0 ব্রাঞ্চের তাৎক্ষণিক লঞ্চের খবর। যদিও, এটা ঘটাতে হলে, ডেভেলপারদের অবশ্যই ফান্ড তুলতে হবে 524,288 ইটিএইচ-এ (মোটামুটি 230 মিলিয়ন ডলার)। দেড় থেকে দুবছরের জন্য বিনিয়োগ হিমায়িত করা উচিত, প্রত্যাশিত বার্ষিক রিটার্ন হল 8-15 শতাংশ। যদি আবশ্যক ফান্ড নভেম্বরে তোলা হয়, ইটিএইচ 2.0 লঞ্চ হতে পারে 1 ডিসেম্বর 12:00 UTC –তে।
আগামী সপ্তাহের অনুমানের ক্ষেত্রে, বেশকিছু সংখ্যক বিশেষজ্ঞের মতামতের সংক্ষেপের পাশাপাশি টেকনিক্যাল ও গ্রাফিক্যাল বিশ্লেষণের বিভিন্ন পদ্ধতির ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি :
- ইউরো/মার্কিন ডলার। স্টক মার্কেট বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা সেখানে অর্থ ঢালছেন, তাঁদের আশা নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতির আগমনে নতুন ঢেউ আসবে আরও উচ্চতর ও শক্তিশালী হয়ে। পাশাপাশি একই সময়ে, বাজার ভুলে গেছে যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত পরিস্থিতি শুধু খারাপ হচ্ছে, ট্রাম্প এখনও কোথাও যাননি, এবং কেউ আর্থিক দায় বাতিল করেনি, আর এ সবকিছুই রয়ে গেছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির স্তরে। যদি ট্রাম্প হারেন, হয়তো নির্বাচনের ফলাফলে প্রতিবাদ করবেন। এইসঙ্গে আমাদের সাধারণ ইউরোপিয়ান কারেন্সির দুর্বলতা ভুলে গেলে চলবে না।
সাধারণভাবে, ডলার থেকে বিনিয়োগকারীরা চলে গেছেন স্টক, বন্ড, সোনা, বিটকয়েন এবং ইউরোতে, যা বোধগম্য, হয়তো-বা অনেক আগেই গেছেন। রাতারাতি সবকিছু উলটোদিকে ঘুরতে পারে।
এরকম পরিস্থিতিতে, এটা খুবই স্বাভাবিক যে বিশেষজ্ঞদের মতামত সমানভাবে বিভাজিত : এক-তৃতীয়াংশের ভোট হল ইউরো/মার্কিন ডলার জোড়ার বৃদ্ধির পক্ষে, এক-তৃতীয়াংশ এর পতনের দিকে এবং এক-তৃতীয়াংশ রয়েছেন নিরপেক্ষ অবস্থানে। টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসের ক্ষেত্রে H4 ও D1-এ 100 শতাংশ ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর এখনও সবুজ, কিন্তু অসিলেটরের 25 শতাংশ ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে জোড়াটি অতিরিক্ত ক্রীত, যা সংকেত দেয় সম্ভাব্য নিম্নগামী প্রবণতার অথবা একটি গুরুতর সংশোধনের। বিপরীতমুখী প্রবণতা D1-এ গ্রাফিক্যাল অ্যানালিসিসও ইঙ্গিত দিয়েছে।
জোড়াটি আছে শক্তিশালী মাঝারি-মেয়াদের সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স অঞ্চল 1.1880-1.1900, এখন। নিকটতম সাপোর্ট স্তর হল 1.1760, 1.1700 এবং 1.1610। রেজিস্ট্যান্স স্তর হল 1.1965 এবং 1 সেপ্টেম্বর 2020-এর উচ্চতায় 1.2010। এটা মনে রাখতে হবে যে এই সর্বাধিক হল সর্বোচ্চ বিন্দু যেখানে জোড়াটি ছিল মে 2018 থেকে। এবং যদি ইউরো/মার্কিন ডলার এর উত্তরমুখী গতি বজায় রাখে, এর মূল লক্ষ্য সম্ভবত হবে 1.2200-1.2400 অঞ্চল। - জিবিপি/মার্কিন ডলার। একটা ছবি আছে ‘দ্য কিং’স স্পিচ’, উৎসর্গিত ষষ্ঠ জর্জকে, ব্রিটেনের বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবাকে। আসন্ন সপ্তাহকে বলা যেতে পারে ‘দ্য হেড অব ব্যাংক অব ইংল্যান্ড স্পিচ’। উপরন্তু, তিনি বলেন অনেক : অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্যের তারিখ নির্ধারিত 9, 12 ও 13 নভেম্বর। এ ছাড়া, যুক্তরাজের শ্রম বাজারের তথ্য জানা যাবে মঙ্গলবার, 10 নভেম্বর এবং এই দেশের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি ও উপভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ পাবে বৃহস্পতিবার, 12 নভেম্বর। অনুমান অনুযায়ী, সবকিছু বেশ বৈপরীত্যে ভরা। একদিকে, জিডিপি বাড়তে পারে -19.8% থেকে +15.8% পর্যন্ত। কিন্তু অন্যদিকে, বেকার ভাতার আবেদন বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে 28.0 হাজার থেকে হবে 78.8 হাজার। এইসঙ্গে এটা আর বলার দরকার পড়ে না যে ডলার বিনিময় হার নিয়ে দোলাচল রয়েছে, যা এখন নির্ভর করছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর, এ ছাড়া ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে অসমাধিত বিষয়টি রয়েছেই।
এর ফলে, জিবিপি/মার্কিন ডলার জোড়া নিয়ে আমাদের আলোচনা অর্থহীন, যদিও অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ (70 শতাংশ) এর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পক্ষে – প্রথমে 1.3265-এ এবং তারপর হয়তো 1 সেপ্টেম্বরের উচ্চতা 1.3480-তে। নিকটতম রেজিস্ট্যান্স হল 1.3175।
টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসের ক্ষেত্রে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ এক ইউরো/মার্কিন ডলার জোড়ার রিডিঙে : H4 ও D1-এ 100 শতাংশ ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর ও 75 শতাংশ অসিলেটর উত্তরে ইঙ্গিত করেছেন, আর গ্রাফিক্যাল অ্যানালিসিসি দক্ষিণে তাকায় যখন 25 শতাংশ অসিলেটর ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে জোড়াটি অতিরিক্ত ক্রীত। সাপোর্ট হল 1.3085, 1.3000, 1.2855। বিয়ার্সের পরের লক্ষ হল 1.2755, কিন্তু এটার সেখানে আগামী সপ্তাহে পৌঁছনোর সম্ভাবনা কম। - মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই। যেমন ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ভোট গণনার মধ্যেই ডলারের পতন হয়েছে দুমাসের নিম্নে গত সপ্তাহে একগুচ্ছ প্রধান কারেন্সির বিপরীতে, এবং অধিকাংশ লগ্নিকারীর আশা এটা আরও দুর্বল হবে। কারেন্সি মার্কেটের বাজি পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন জো বাইডেন, কিন্তু সেনেটে নিয়ন্ত্রণ থাকবে রিপাবলিকানদের। এই পরিস্থিতিতে, 70 শতাংশ বিশ্লেষকের বিশ্বাস যে ডলারের বিপরীতে জাপানি কারেন্সির শক্তিশালী হওয়া বজায় থাকবে, যার ফলাফল হল জোড়াটি এখনও অতিক্রম করতে পারে 103.00 অঞ্চলের সাপোর্ট এবং 102.00-এর অ্যাপ্রোচ লেভেল। (ব্যাকলাশ মাথায় রেখে, সম্ভাব্য স্লিপেজ 101.75 পর্যন্ত হতে পারে)। এটা মনে রাখতে হবে যে এটা এত নীচে নামেনি করোনা ভাইরাস অতিমারির প্রেক্ষিতে মার্চ 2020-এ আতঙ্ক শুরু হবার পর থেকে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, কারো বিস্মিত হওয়া উচিত নয় যে মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই জোড়ার জন্য ইন্ডিকেটরদের রিডিং মিলে গেছে গত দুটি জোড়ার ক্ষেত্রে তাঁদের ‘সহকর্মীদের’ রিডিঙের সঙ্গে, শুধু পার্থক্য হল এই জোড়ার নীচে চলে যাওয়া, উপরে নয়, সম্পর্কিত ডলারের দুর্বল হওয়ার জন্য, যেমন ইউরো ও পাউন্ডের অবস্থা।
বাকি 30 শতাংশ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন বুলসের সঙ্গে এবং তাঁদের মতে, মার্কিন ডলার প্রথম ফিরবে 104.00 রেজিস্ট্যান্সে তারপর স্থায়ী হবে 104.00-105.00 অঞ্চলে। - ক্রিপ্টোকারেন্সি। কোভিড-19 অতিমারি হয়ে উঠেছে বিটকয়েনের জন্য উইনিং কার্ড। সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলি তাদের দেশের অর্থনীতিকে সাহায্য করতে যত বেশি টাকা ছাপাবে, ততই বিনিয়োগকারীরা বিটকয়েন আঁকড়ে ধরবেন প্রতিরক্ষামূলক সম্পদ হিসেবে। এবং শুধু ব্যক্তি নয়, বড় সংস্থামূলক লগ্নিকারীও।
জেপিমর্গান ও পেপল-এর মতো আর্থিক দৈত্যর কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি আর অস্পৃশ্য নয়। ‘কিং অব বন্ডস’, ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ডাবললাইন ক্যাপিটাল (141 বিলিয়ন ডলার)-এর প্রধান জেফ্রি গুন্ডলাচ, যিনি প্রথমে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘একটি মিথ্যা’ বলেছিলেলন, এখন এটিকে ডলারের ক্ষয়ের বিপরীতে একটি বিমা হিসেবে সুপারিশ করছেন।
ইউএস কারেন্সি এক্সচেঞ্জ অফিস (ওসিসি) প্রধান ব্রায়ান ব্রুকসের মতে, কিছু মার্কিন ব্যাংক ইতিমধ্যেই সক্রিয়ভাবে বোঝাপড়া চালাচ্ছে সম্ভাব্য সমন্বয়ের জন্য প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সি ধারকদের সঙ্গে যেমন অ্যাংকোরেজ ও কয়েনবেস। ব্রুকসের বিশ্বাস যে বিশ্বজুড়ে আর্থিক কংগলোমেরেটরা একদম শূন্য থেকে তাদের নিজস্ব সমাধান সৃষ্টি করবে না ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টোর করতে, বরং মার্কেট লিডারদের কিনবে অথবা তাদের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে সহযোগিতায় প্রবেশ করবে। অফ দ্য চেইন ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান এস্টেসের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোটামুটি 90 শতাংশ ঘর 2030-এর মধ্যে বিটিসি কয়েন ব্যবহার করবে।
বেশকিছু বিশেষজ্ঞের মতে, নিকট ভবিষ্যতে, গুরুত্বপূর্ণ 12000 ডলারের সীমা পার করার পর, বিটকয়েনের সামনে 20000 ডলারে পৌঁছনোর পথে গুরুতর কোনো বাধা নেই। এই মুহূর্তে 60 শতাংশ বিশ্লেষক সম্মত হয়েছেন যে বিটিসি/মার্কিন ডলার জোড়া নিকট ভবিষ্যতে 16000 ডলার উচ্চতায় পৌঁছবে।
যদিও অন্যান্য মতামতও আছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রখ্যাত বিশ্লেষক উইলি উয়ু বিশ্বাস করেন যে বিটকয়েন ‘নিরাপদ স্বর্গ’ স্তরে পৌঁছে গেছে। ‘অন্যান্য মার্কেট ইন্ডাস্ট্রি দ্বারা প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সির আন্তঃসম্পর্ক ধীরে ধীরে কমছে। এটা সম্পদটির দৃঢ়তা নিশ্চিত করে, এজন্যই 2017-র মিছিলের জন্য অপেক্ষা করা কাজের কথা নয়। এবং এমনকি যদি বিটকয়েন আগ্রাসী বৃদ্ধিতে যায়, উইলি উয়ুর বিশ্বাস, এটা স্থায়ী সংশোধনের সম্মুখীন হবে এবং ফিরবে 14,000-15,000 ডলার অঞ্চলে। এই মতামতই দিয়েছেন 40 শতাংশ বিশ্লেষক, যদিও মাঝারি মেয়াদে তাঁদের সংখ্যা বেড়েছে 60 শতাংশে। যদিও, এটা খুব স্পষ্ট যে বিটিসি/মার্কিন ডলার কোটের জন্য নির্ণায়ক বিষয় হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেনের সাফল্য।
নর্ডএফএক্স অ্যানালিটিক্যাল গ্রুপ
বিজ্ঞপ্তি : এসব তথ্য আর্থিক বাজারে কাজের জন্য বিনিয়োগ বা পরামর্শ হিসেবে কোনো সুপারিশ নয় : এগুলি একমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে। আর্থিক বাজারে ট্রেডিং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর ফলে ডিপোজিটকৃত ফান্ডের পরিপূর্ণ ক্ষতি হতে পারে।
ফিরে যান ফিরে যান